যশোরের কেশবপুরে নরসুন্দর চঞ্চল দাস (২২) হত্যার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মূলহোতাসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে কেশবপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ঋষিপাড়ার কার্তিক দাসের ছেলে চঞ্চল দাস (২২) বাড়ির পাশের ক্ষেতে রবিউল ইসলাম রবির কলার বাগান থেকে কাকা বিকাশ দাসের বাড়ীতে এসে গোঙানি করতে থাকে ,শব্দ শুনে বিকাশ দাস ও তার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দেখে বারান্দার সিড়িতে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় পড়ে আছে চঞ্চল দাস। ওইসময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে চঞ্চলকে গুরুতর আহত অবস্থায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। খুলনায় হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে চুকনগর এলাকায় পৌঁছালে চঞ্চল দাস মারা যায়।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মণিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন ও কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সন্ধিগ্ধ একই গ্রামের সুদেব দাস (২১) ও তার পিতা আনন্দ দাস (৪৫) কে গ্রেফতার করে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য মোতাবেক পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে সুমন দাস (১৮) কে গ্রেফতার করে। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা কার্তিক দাস বাদী হয়ে শুক্রবার কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং-১।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সুদেব দাসের নির্দেশে সুমন দাস চঞ্চল দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে আনলে পূর্ব দিক থেকে অতর্কিত অবস্থায় থাকা সুদেব দাস চঞ্চল দাসকে গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি মাঠে রাখা হয়েছে। পরে আসামি ও শোয়ের তথ্য অনুযায়ী সেখান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে পুলিশ।
হাজার মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন হলো আজ | যশোর প্রকাশ
নিহত চঞ্চল দাসের বাবা কার্তিক দাস বলেন, পাড়ার আনন্দ দাসদের সঙ্গে তাঁদের নারী নির্যাতনের একটি মামলা চলছিল। তাঁর ধারণা, মামলা নিয়ে বিরোধের কারণে তাঁর ছেলেকে খুন করেছে তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মজিদপুর গ্রামের নীরপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস (৪৫), তার ছেলে সুদেব দাস (২১) ও পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস (১৮)। কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুদেব দাসসহ তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র: জাগো বাংলাদেশ
Post a Comment