ইসলামের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে যে দিনটি সেটি হলো পবিত্র আশুরা। এই দিনটি মুসলমানদের জীবনে মহা স্মরণীয় ও তাৎপর্যময় দিন।
হিজরি সনের মহররম মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। তাৎপর্যপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ন এই দিনটি ইসলামের ইতিহাসে বরাবরই স্মরনীয় হয়ে আছে এবং থাকবে।
আশুরার এই দিনটি যে কারণে তাৎপর্যপূর্ণ ও মর্যাদাময়
* এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।
*আশুরার দিন আল্লাহ পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদমকে (আ:) সৃষ্টি করেছেন।
*হযরত আদম (আ:) বেহেশত থেকে দুনিয়ায় আগমন করান।
*এই দিন হযরত নূহ (আ:)-এর আমলের প্লাবন শেষ হয়।
*নূহ (আ:)-এর জাহাজ তুরস্কের ‘জুদি’ নামক পর্বতে গিয়ে থামে।
*এই দিনে হযরত ইব্রাহিম (আ:) জালিম বাদশাহ নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে নিরাপদে মুক্তি পেয়েছিলেন।
*আজকের দিনে হযরত ইউনুস (আ:) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিল।
*আশুরার দিনে হযরত আইয়ুব (আ:) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
*এই দিন আল্লাহ জালিম বাদশা ফিরাউনকে দল-বলসহ পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন
*এবং মুসা (আ:) ও তার অনুসারীরা ফেরাউনের হাত থেকে নাজাত লাভ করেছেন।
* আজকের দিনে হযরত সুলাইমান (আ:) তার হারানো রাজত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।
*এই দিনে হযরত ইয়াকুব (আ:) হারানো ছেলে হযরত ইউসুফকে (আ:) ফিরে পেয়েছিলেন।
*এই দিনে হযরত ঈসা (আ:) জন্ম গ্রহণ করেন *এবং এই দিনেই তাঁকে দুনিয়া থেকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
**১০ মহররম কারবালা প্রান্তরে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হোসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাতের ঘটনা মুসলিম জাতির ইতিহাসে একটি অতীব গুরুত্ব স্মরণীয় ঘটনা। এই ঘটনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। হযরত হোসাইন (রাঃ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে সেদিন কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন নিয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। রাসূল (সা:) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং তার চার খলিফা কর্তৃক প্রবর্তিত খেলাফতী শাসন ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখার জন্য তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। ইসলামী খেলাফতের ব্যাপারে কোন ধরনের আপোষ না করার কারণেই কারবালার ঘটনা ঘটেছিল। কারবালার ঘটনা আমাদেরকে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে সংগ্রাম করার কথাই শিক্ষা দেয়।
আত্বত্যাগে মহত্ব অর্জন এর শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাক প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই কামনা করে।
Post a Comment